Thursday, September 29, 2016

বাক্য অনুশীলন

বাক্য অনুশীলন শকুন্তলা ক) নেতিবাচক থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : এ আশ্রমমৃগ, বধ করিবেন না। অস্তি : এ আশ্রমমৃগ, বধ করা থেকে বিরত হোন। নেতি : আপনকার বাণ অল্পপ্রাণ মৃগশাবকের উপর নিক্ষিপ্ত হইবার যোগ্য নহে। অস্তি : আপনকার বাণ অল্পপ্রাণ মৃগশাবকের উপর নিক্ষিপ্ত হইবার অযোগ্য। নেতি : না মহারাজ, তিনি আশ্রমে নাই। অস্তি : হ্যাঁ মহারাজ, তিনি আশ্রমের বাইরে আছেন। (বাক্যের শুরুতে ‘না’ শব্দটি না থাকলে ‘তিনি আশ্রমে অনুপস্থিত’ হতে পারতো। কিন্তু এক্ষেত্রে ‘অনুপস্থিত’ বলতে গেলে শুরুতে ‘না’ বলতে হবে। তখন বাক্যটি আর অস্তিবাচক হবে না, কারণ নেতিবাচক শব্দ ‘না’ বাক্যে থেকে যাবে। তাই এক্ষেত্রে সেটি সঠিক হবে না।) নেতি : কেহ কহিয়া দিতেছে না। অস্তি : সকলে নীরব থাকিতেছে। নেতি : এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। অস্তি : আমার অন্তঃপুর এরূপ রূপবতী রমনী-বিবর্জিত। খ) অস্তিবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর অস্তি : উদ্যানলতা, সৌন্দর্যগুণে, বনলতার নিকট পরাজিত হইল। নেতি : উদ্যানলতা, সৌন্দর্যগুণে, বনলতার নিকট পরাজিত না হইয়া পারিল না। অস্তি : কণ্ব আশ্রমপাদপদিগকে তোমা অপেক্ষা অধিক ভালোবাসেন। নেতি : কণ্ব আশ্রমপাদপদিগকে তোমা অপেক্ষা অধিক না ভালোবাসিয়া পারেন না। অস্তি : আমারও ইহাদের উপর সহোদর স্নেহ আছে। নেতি : আমারও যে ইহাদের উপর সহোদর স্নেহ নাই তাহা নহে। অস্তি : এই জন্যই তোমাকে সকলে প্রিয়ংবদা বলে। নেতি : এই জন্যই তোমাকে সকলে প্রিয়ংবদা না বলে পারে না। অস্তি : প্রিয়ংবদা যথার্থ কহিয়াছে। নেতি : প্রিয়ংবাদ অযথার্থ কহে নাই। গ) জটিল থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর জটিল : কেহ কহিয়া দিতেছে না, তথাপি তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে। সরল : কেহ কহিয়া না দিলেও তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে। জটিল : শরাসনে যে শর সংহিত করিয়াছেন, আশু তাহার প্রতিসংহার করুন। সরল : শরাসনে সংহিত শর আশু প্রতিসংহার করুন। জটিল : যদি কার্যক্ষতি না হয়, তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন। সরল : কার্যক্ষতি না হইলে তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন। জটিল : ইহারা যেরূপ, এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। সরল : ইহাদের মতো রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই। জটিল : তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা, তথাপি তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন। সরল : তুমি নবমালিকা কুসুমকোমলা হওয়া সত্ত্বেও তোমায় আলবালজলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন। কমলাকান্তের জবানবন্দী সরল থেকে জটিল বাক্যে রূপান্তর সরল : ফরিয়াদী প্রসন্ন গোয়ালিনী। জটিল : যে ফরিয়াদী, সে প্রসন্ন গোয়ালিনী। সরল : সাক্ষীটা কী একটা গণ্ডগোল বাধাইতেছে। জটিল : যে সাক্ষী, সে একটা গণ্ডগোল বাধাইতেছে। সরল : আমার নিবাস নাই। জটিল : যা নিবাস, তা আমার নাই। সরল : তোমার বাপের নাম কী? জটিল : তোমার যিনি বাপ, তার নাম কী? সরল : আমি এ সাক্ষী চাই না। জটিল : যে সাক্ষী এ রকম, তাকে আমি চাই না। সরল : কমলাকান্ত পিতার নাম বলল। জটিল : যিনি কমলাকান্তের পিতা, সে তাঁর নাম বলল। সরল : কোনো কথা গোপন করিব না। জটিল : যাহা বলিব, তাহার মধ্যে কোনো কথা গোপন করিব না। সরল : উকিলবাবু চুপ করিয়া বসিয়া পড়িলেন। জটিল : যিনি উকিলবাবু, তিনি চুপ করিয়া বসিয়া পড়িলেন। হৈমন্তী ক) অস্তিবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর অস্তি : বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। নেতি : বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা আবশ্যক ছিল না। অস্তি : পঞ্জিকার পাতা উল্টাইতে থাকিল। নেতি : পঞ্জিকার পাতা উল্টানো বন্ধ রহিল না। অস্তি : শ্বশুরের ও তাহার মনিবের উপর রাগ হইল। নেতি : শ্বশুরের ও তাহার মনিবের উপর রাগ না হইয়া পারিলাম না। অস্তি : আমার বুকের ভেতরটা হু হু করিয়া উঠিল। নেতি : আমার বুকের ভেতরটা হু হু করিয়া না উঠিয়া পারিল না। অস্তি : হৈমন্তী চুপ করিয়া রহিল। নেতি : হৈমন্তী কোনো কথা কহিতে পারিল না। অস্তি : হৈম কিছু না বলিয়া একটু হাসিল। নেতি : হৈম কিছু একটু হাসিল, কিছু বলিল না। অস্তি : সে বাপকে যত চিঠি লিখিত আমাকে দেখাইত। নেতি : সে বাপকে যত চিঠি লিখিত সেগুলি আমাকে না দেখাইয়া পারিত না। অস্তি : তাহার মন একেবারে কাঠ হইয়া গেল। নেতি : তাহার মন কাঠ না হইয়া পারিল না। খ) নেতিবাচক থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তাঁহার আস্থা ছিল না। অস্তি : দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তাঁহার অনাস্থা ছিল। নেতি : আমার প্রণাম লইবার জন্য সবুর করিলেন না। অস্তি : আমার প্রণাম লইবার পূর্বেই প্রস্থান করিলেন। নেতি : কিন্তু বরফ গলিল না। অস্তি : কিন্তু বরফ অগলিত রহিল। নেতি : হৈম তাহার অর্থ বুঝিল না। অস্তি : হৈম তাহার অর্থ বুঝিতে অক্ষম। নেতি : দেবার্চনার কথা কোনদিন তিনি চিন্তাও করেন নাই। অস্তি : দেবার্চনার কথা তাঁর কাছে অচিন্ত্যনীয় ছিল। নেতি : এসব কথা সে মুখে আনিতে পারিত না। অস্তি : এসব কথা তার মুখে আনারও যোগ্য ছিল না। নেতি : বইগুলি হৈমর সঙ্গে একত্রে মিলিয়া পড়া অসম্ভব ছিল না। অস্তি : বইগুলি হৈমর সঙ্গে একত্রে মিলিয়া পড়া সম্ভব ছিল। নেতি : দেখি, সে বিছানায় নাই। অস্তি : দেখি, সে বিছানায় অনুপস্থিত। গ) যৌগিক থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর যৌগিক : কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। সরল : কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিলেও বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। যৌগিক : আমি ছিলাম বর, সুতরাং বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। সরল : আমি বর ছিলাম বলে বিবাহ সম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। যৌগিক : শিশিরের বয়স যথাসময়ে ষোলো হইল; কিন্তু সেটা স্বভাবের ষোলো। সরল : শিশিরের বয়স যথাসময়ে ষোলো হইলেও সেটা ছিল স্বভাবের ষোলো। যৌগিক : তোমাকে এই কটি দিন মাত্র জানিলাম, তবু তোমার হাতেই ও রহিল। সরল : তোমাকে এই কটি দিন মাত্র জানিলেও তোমার হাতেই ও রহিল। বিলাসী ক) নেতিবাচক থেকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : তাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে না। প্রশ্ন : তাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে কি? নেতি : এ খবর আমরা কেহই জানিতাম না। প্রশ্ন : এ খবর আমাদের কেহই কি জানিত? নেতি : মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। প্রশ্ন : মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে কি? নেতি : সরস্বতী বর দেবেন না। প্রশ্ন : সরস্বতী বর দেবেন কি? নেতি : তাদের সে জ্বালা নাই। প্রশ্ন : তাদের সে জ্বালা আছে কি? নেতি : তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনি নাই। প্রশ্ন : তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনিয়াছি কি? নেতি : একথা কোনো বাপ ভদ্রসমাজে কবুল করিতে চাহিত না। প্রশ্ন : একথা কোনো বাপ ভদ্রসমাজে কবুল করিতে চাহিত কি? নেতি : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের দেখা নাই। প্রশ্ন : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের কোনো দেখা আছে কি? খ) প্রশ্নবাচক থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর প্রশ্ন : তেমন সব ভদ্রলোকই বা কী সুখে গ্রাম ছাড়িয়া পলায়ন করেন? অস্তি : তেমন সব ভদ্রলোকই বা কী সুখে গ্রাম ছাড়িয়া পলায়ন করেন জানিতে চাই। প্রশ্ন : কামস্কাটকার রাজধানীর নাম কি? অস্তি : কামস্কাটকার রাজধানীর নাম কী তা জানতে চাই। প্রশ্ন : একলা যেতে ভয় করবে না তো? অস্তি : একলা যেতে ভয় করবে কি না জানতে চাই। গ) প্রশ্নবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর প্রশ্ন : পুলিশের লোক জানিবে কী করিয়া? নেতি : পুলিশের লোক জানিবে না। প্রশ্ন : তাহারা কি পাষাণ? নেতি : তাহারা পাষাণ নয়। প্রশ্ন : এতে দোষ কী? নেতি : এতে দোষ নেই। প্রশ্ন : তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের কী? তাঁর যে আর তিলার্ধ বাঁচিতে সাধ নাই, এ কি তাহারা বুঝিবে না? তাহাদের ঘরে কি স্ত্রী নাই? তাহারা কি পাষাণ? নেতি : তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের তো কিছু না। তাঁর যে আর তিলার্ধ বাঁচিতে সাধ নাই, এ তাহারা বুঝিবে। তাহাদের ঘরেও তো স্ত্রী আছে। তাহারা তো পাষাণ নয়। কলিমদ্দি দফাদার ক) অস্তিবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর অস্তি : কোথাও তক্তা অদৃশ্য হয়ে যায়। নেতি : কোথাও তক্তা অদৃশ্য না হয়ে যায় না। অস্তি : কাঠের পুলের অবস্থাও ওরকম। নেতি : কাঠের পুলের অবস্থাও অন্যরকম নয়। অস্তি : ধান চালের দাম বাড়লে উপোস করতে হয়। নেতি : ধান চালের দাম বাড়লে উপোস না করে চলে না। অস্তি : যখনকার সরকার তখনকার হুকুম পালন করি। নেতি : যখনকার সরকার তখনকার হুকুম পালন না করলেই নয়। অস্তি : আজ ঐ গ্রামটাকে শায়েস্তা করতে হবে। নেতি : আজ ঐ গ্রামটাকে শায়েস্তা না করলেই নয়। অস্তি : আত্মরক্ষা করতে হবে। নেতি : আত্মরক্ষা না করলেই নয়। অস্তি : সপ্তাহে একদিন তাকে থানায় হাজিরা দিতে হয়। নেতি : সপ্তাহে একদিন তাকে থানায় হাজিরা না দিলে চলে না। অস্তি : একটি বাঁশও উধাও হয়ে গেছে। নেতি : একটি বাঁশও নেই। খ) নেতিবাচক থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : এক পা দু পা করে না এগিয়ে পারে না। অস্তি : এক পা দু পা করে এগিয়ে যেতেই হয়। নেতি : তক্তাসুদ্ধই সে নিচে না পড়ে পারল না। অস্তি : তক্তাসুদ্ধই সে নিচে পড়ে গেল। নেতি : কলিমদ্দি সে সব জানে না। অস্তি : কলিমদ্দির সে সব অজানা। নেতি : সে গুলি চালানোয় অভ্যস্ত নয়। অস্তি : সে গুলি চালানোয় অনভ্যস্ত। নেতি : সে সাঁতার জানে না। অস্তি : সে সাঁতার কাটতে অক্ষম।/সে সাঁতার সম্পর্কে অজ্ঞ। নেতি : কলিমদ্দি কারো কাছে হাত পাতে না। অস্তি : কলিমদ্দি কারো কাছে হাত পাতা থেকে বিরত থাকে। নেতি : খান সেনারা তার রহস্য ভেদ করতে পারে না। অস্তি : খান সেনাদের কাছে সেটা রহস্যই থেকে যায়। নেতি : আশেপাশে কোন শব্দ নেই। অস্তি : চারপাশ নিঃশব্দ/শব্দহীন। একটি তুলসী গাছের কাহিনী ক) অস্তিবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর অস্তি : সে কথাই এরা ভাবে। নেতি : সে কথাই এরা না ভেবে পারে না। অস্তি : বাড়িটা তারা দখল করেছে। নেতি : বাড়িটা তারা দখল না করে ছাড়ে না। অস্তি : কথাটায় তার বিশ্বাস হয়। নেতি : কথাটায় তার অবিশ্বাস হয় না। অস্তি : তবে নালিশটা অযৌক্তিক। নেতি : তবে নালিশটা যৌক্তিক নয়। অস্তি : সে তারস্বরে আর্তনাদ করে। নেতি : সে তারস্বরে আর্তনাদ না করে পারে না। খ) নেতিবাচক বাক্য থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : তারা যাবে না কোথাও। অস্তি : তারা এখানেই থাকবে। নেতি : কারো মুখে কোন কথা সরে না। অস্তি : প্রত্যেকেই নীরব হয়ে থাকে। নেতি : সেখানে কেউ নেই। অস্তি : জায়গাটা নির্জন। নেতি : কথাটা না মেনে উপায় নেই। অস্তি : কথাটা মানতেই হয়। নেতি : তাদের ভুলটা ভাঙতে দেরি হয় না। অস্তি : অচিরেই তাদের ভুল ভাঙে। নেতি : সন্দেহ থাকে না যে তুলসী গাছটার যত্ন নিচ্ছে কেউ। অস্তি : এটা নিশ্চিত যে তুলসী গাছটার যত্ন নিচ্ছে কেউ। নেতি : সে একটু বিস্মিত না হয়ে পারে না। অস্তি : তাকে একটু বিস্মিত হতেই হয়। নেতি : গাছটি উপড়ানোর জন্যে কারো হাত এগিয়ে আসে না। অস্তি : গাছটি উপড়াতে সবার হাত নিষ্ক্রিয় থাকে।/সবাই গাছটি উপড়াতে নিষ্ক্রিয় থাকে। নেতি : হয়তো তার যাত্রা শেষ হয় নাই। অস্তি : হয়তো তার যাত্রা এখনো চলছে। নেতি : হিন্দু রীতিনীতি এদের তেমন ভাল জানা নেই। অস্তি : হিন্দু রীতিনীতি এদের কাছে অনেকটাই অজানা। একুশের গল্প নেতিবাচক বাক্যকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর নেতি : ওকে চেনাই যায় না। অস্তি : ওকে চিনতে আমরা অক্ষম। নেতি : এ অবস্থায় কেউ কাউকে চিনতে পারে না। অস্তি : এ অবস্থায় সবাই সবাইকে চিনতে অক্ষম। নেতি : এ কথা ভুলেও ভাবি নি কোনদিন। অস্তি : এ কথা সবসময়ই আমার ভাবনার অতীত ছিল। নেতি : ওদের কাউকে পাওয়া যায় নি। অস্তি : ওর সবাই নিখোঁজ। নেতি : আমরা বাধা দিতে পারলাম না। অস্তি : আমরা বাধা দিতে অক্ষম ছিলাম। নেতি : আমরা নড়লাম না। অস্তি : আমরা অনড় থাকলাম। learn english

No comments:

Post a Comment